পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহারের নিয়ম ও পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল মাখার উপকারিতা
পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহারের নিয়ম ও এই তেল মাখার উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। নারিকেলের এর শাঁস থেকে এই তেল উৎপাদিত হয়, এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। এর উপাদানগুলো হলো লরিক অ্যাসিড, ক্যাপ্রিক অ্যাসিড, মাইরিস্টিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, পলিফেনলস, আয়রন, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়ামের ও কার্বোহাইড্রেট - প্রোটিন থাকে। এগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধে কাজ করে এবং নারিকেল তেল পুরুষাঙ্গে ব্যাবহারের ফলে নানান রোগের খুবই চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়।
পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহারের নিয়ম
পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহারের নিয়ম হলোঃ নারিকেল তেল হলো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা লিঙ্গে ব্যাবহারের ফলে পুরুষাঙ্গ চিকন, ছোট ও আগা মোটা ও গোড়া চিকন রোগ নিয়মিত ব্যবহারে দূর করে। নারিকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন যা ত্বকের ক্ষত এবং ক্ষত এর কালো দাগ দূর করে। এছাড়াও শুষ্ক খসখসে লিঙ্গের ত্বককে নরম ও মসৃন করে এবং ফাঙ্গাস ও অন্যান্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে লিঙ্গের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে মোটা ও লম্বা এবং শক্ত হতে সাহায্য করে এবং নিয়মিত ব্যবহারে দীর্ঘস্থায়ী হয়। পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এর নিয়ম হলোঃ এই তেলটি পুরুষাঙ্গে ২ বেলা মালিশ করলে সর্বোচ্চ রেজাল্ট পাবেন।
প্রতিদিন সকালে মালিশ করবেন এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে খাটি নারিকেল তেলটি থেকে বাম হাতে কয়েক ফোটা নিয়ে পুরুষাঙ্গের গোড়া থেকে মাথার দিকে হালকা চেপে মালিশ করবেন। এভাবে আপনি ৮-১০ মিনিট মালিশ করবেন, তবে সাবধান আপনি যখন বেশী উত্তেজিত হয়ে পড়বেন তখন ব্রেক দিবেন; শান্ত হওয়ার পরে আবারো পুনরায় মালিশ করবেন।
ভুলেও মাস্টাবেশন বা হস্তমৈথুন করবেননা, আপনার নিজেকে আটকিয়ে রাখতে কষ্ট হবে; আর হওয়াটাই স্বাভাবিক, নিজের সঙ্গে লড়াই করতে হবে হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গ যে সমস্যার জন্য ব্যবহার করতেছেন তার উপকার না হয়ে আরো ক্ষতি হবে। যদি আপনার স্ত্রী থেকে থাকে তাহলে তার সঙ্গে মিলন করতে পারেন এতে কোনো সমস্যা নেই।
পুরুষাঙ্গ অনেকগুলো রক্তনালি দিয়ে গঠিত হয়েছে, যার কারনে লিঙ্গে যতোবেশি রক্ত চলাচল করবে লিঙ্গ ততো বেশী লম্বা, মোটা, ও শক্ত হবে। প্রতিদিন পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে লিঙ্গ দীর্ঘস্থায়ী আকার ধারন করতে রাখতে পারে। সহবাসের পূর্বে পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল ব্যবহারেরর ফলে লিঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় যার ফলে যৌন উত্তেজনা ও বৃদ্ধি পায়।
নারিকেল তেল কিভাবে কাজ করে
মুখে বা কপালে এবং চোখের নিচে এবং পুরুষাঙ্গে শরীরের ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় বয়সের বলিরেখা দেখা দিতে পারে। বাজারে অনেক ক্রিম বা ঔষধ রয়েছে এগুলোর দাম ও অনেক বেশী এবং এইসকল প্রোডাক্ট গুলো ত্বকে ব্যহার করা ক্ষতিকর। কিন্তু এর বিকল্প হিসেবে নারিকেল তেল বেশ ভালো কার্যকরী, এটি আপনি একটানা ৭ দিন ব্যবহার করলে এর চমৎকার ফলাফল দেখতে পাবেন। নারিকেল তেল ত্বকের কোলাজেন নামক কলার বৃদ্ধি ঘটায়। কোলাজেন হলো একপ্রকারের তন্তুজাত প্রোটিন এর প্রধান কাজ হলো ত্বকের কোষকে যুক্ত করা যারফলে ত্বকের কোষের ঝুলে পড়া ও শুকিয়ে যাওয়া হ্রাস করে।
যোনিতে নারিকেল তেল দিলে কি হয়
নারিকেল তেলে প্রায় ২% পর্যন্ত লিনোলিক অ্যাসিড এই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। লিনোলিক অ্যাসিড একটি অত্যাবশ্যক ফ্যাটি অ্যাসিড যা মানবদেহে তৈরি হয় না। এবং এগুলো খাদ্য থেকে গ্রহণ করতে হয়, এটি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক। যোনিতে প্রদাহ হলে বা চুলকানি হলে ও নারিকেল তেল দেওয়ার ফলে মুক্তি পেতে পারে। যোনিতে নারিকেল তেল দেওয়া যোনির জন্য সাস্থসম্মত হলেও বিনা প্রয়োজনে নিয়মিত নারিকেল তেল দেওয়া একেবারেই উচিত নয়।
শারিরীক মিলনের সময়ে নারিকেল তেল দেওয়া যেতে পারে, এছাড়াও যোনিপথে চুলকানি হলে ও যোনিতে জ্বালা যন্ত্রনা করলে তখন এই তেল ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। নারিকেল তেলে ভিটামিন ই এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস উপস্থিত থাকে যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
পুরুষের জন্যে নারিকেল তেল কি ক্ষতিকর
নারিকেল তেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বেশ কার্যকরী, এটি ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বকের শুষ্কতা ভাব দূর করে নরম ও মসৃন করে তোলে। এছাড়াও পুরুষের ত্বকের যেকোনো ছোটখাটো ক্ষত, পুড়ে যাওয়া বা কাটা ছেড়া জায়গায় নারিকেল তেল ব্যবহারে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যেতে পারে। নারিকেল তেলে থাকা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের নাম হলোঃ অ্যান্টি-এজিং যা পুরুষের বার্ধক্য প্রতিরোধে কাজ করে যৌবন ধরে রাখে। যেসকল পুরুষের মাথায় খুশকি রয়েছে, চুলে খুশকির জ্বালায় বিরক্ত হয়ে গেছেন তারা যদি নারিকেল তেল চুলে ব্যবহার করে তাহলে খুশকি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও যেসকল পুরুষদের চুল পড়ে যায় বা উঠে যায় তারা যদি নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করে তাহলে চুল পড়া রোধ হবে।
এছাড়াও যেসকল পুরুষদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান কম বেশী তারা যদি সঠিক পরিমানে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারে তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এবং যারা ডায়াবেটিস এ ভুগে থাকেন তারা যদি নারিকেল তেল ব্যবহার করে তাহলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও নারিকেল তেল পুরুষেরা প্রাকৃতিক লুব্রিকেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক কাজে নারিকেল তেল ব্যবহার করে উপকৃত হওয়া যায়।
পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল মাখার উপকারিতা
পুরুষাঙ্গের আগা মোটা ও গোড়া চিকনঃ এই রোগটি মুলত মাস্টারবেশন এর ফলে হয়ে থাকে। আমাদের দেশে কিশোর কিশোরীদের শারিরীক সম্পর্ক নিয়ে তেমন কোনো ইডুকেশন দেওয়া হয়না, যারফলে তারা বুঝতে পারেনা তাদের কি করা উচিত আর কি করা উচিৎ নয়। আমাদের দেশের বাচ্চরা স্কুলে তো এই ব্যপারে শিক্ষা পায় ই না এবং বাড়িতে ফ্যামিলির মা বাবা ভাই বোন কারো সাথেই ভয়ে আলাপ ও করতে পারেনা। এরফলে ছেলেটির যা ইচ্ছে তাই ই করে আনন্দ নেয়, পরিপক্ক বয়সে এসে এরকম নানান যৌন সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
দেশে এখন প্রযন্ত পুরুষাঙ্গের সমস্যা বা রোগ নিয়ে ভালো কোনো ট্রিটমেন্ট আবিষ্কার হয়নি। তাই সকলের উচিত এই অবুঝ শিশুদের সাথে ফ্রেন্ডলি হয়ে তাকে বুঝানো যে কোনটি তার করা উচিত নয়। যাইহোক পুরুষাঙ্গে নারিকেল তেল নিয়মিত মাখার ফলে পুরুষাঙ্গের আগা মোটা ও গোড়া চিকন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে একটি চিরন্তন সত্যি কথা হলো আপনার লিঙ্গটি আগের মতো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবেননা, তবে কিছুটা উন্নতি হবে। কিন্তু সতর্ক থাকবেন যে কিছুতেই বীর্যপাত করা যাবেনা।
পুরুষাঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যায়ঃ হস্তমৈথুন করতে করতে লিঙ্গের টিস্যু গুলো ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার কারনে পুরুষাঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা দেখা যায়। লিঙ্গ অনেক গুলো টিস্যু দ্বারা গঠিত। হস্তমৈথুনের সময় হাতের প্রেসারে পেনিসের টিস্যুগুলো শুকিয়ে যায় যার ফলে ওই টিস্যুগুলো দিয়ে রক্ত চলাচল করতে পারেনা। পেনিসে কোনো হাড় নেই, উত্তেজিত সময়ে পেনিসের টিস্যু দিয়ে যখন রক্ত চলাচল বেড়ে যায় তখন লিঙ্গ অনেক বেশী শক্ত হয়। প্রতিদিন হস্তমৈথুনের ফলে পেনিসের টিস্যু গুলো শুকাতে শুকাতে একপর্যায়ে ডেড হয়ে যায়। নারিকেল নিয়মিত মাখার ফলে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব, তবে আপনাকে টানা ১-৩ মাস চালিয়ে যেতে হবে। এই সময়টাতে ভুল করে ও হস্তমৈথুন করা যাবেনা, আর ভালো হয়ে যাওয়ার পরে ও এই অভ্যাসে কখনো পা দেওয়া যাবেনা।
ঘরে বসেই নারিকেল তেল তৈরির পদ্ধতি
প্রথমে ২ - ৩ টি পাকা নারিকেলের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপরে নারিকেল গুলো কোড়ানির সাহায্য কুড়িয়ে ব্লেনডার করতে হবে অথবা পাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর এগুলো বড় একটি পাত্রে পরিষ্কার পানির সঙ্গে একত্রে মিশাতে হবে, এরপরে একটি ছাকনির বা পাতলা কাপড়ের সাহায্য পানিগুলো ছেঁকে নিতে হবে। নারিকেলের পানিগুলো একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় দিয়ে কম আঁচে ফোটাতে হবে এরপরে ধীরে ধীরে নারিকেলের পানি দুধ থেকে তেল আলাদা হয়ে আসবে। এই সময় চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন, যাতে নিচে লেগে না যায়। নারিকেলের পানি দুধ পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়ে তেম বের হয়ে না আসা প্রযন্ত চুলায় রাখুন।
পানিগুলো আগুনের তাপে শুকিয়ে তেলে পরিনত হওয়ার পরে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এবং ঠান্ডা হতে দিন, এরপর পরিষ্কার পাতলা কাপড় বা ছাকনির সাহায্যে তেলটি ছেঁকে নিন; হয়ে গেলো ঘরে বসে খাটি নারিকেল তেল তৈরি করা।
আরো পড়ুনঃ পুরুষাঙ্গে কালোজিরার তেল ব্যবহারের নিয়ম ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
https://realpdfbook.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%b2/
কি কি কাজে নারিকেল তেল ব্যবহার করা উচিৎ না
মুখমন্ডল তৈলাক্ত ভাব হলে এবং ব্রন থাকলেঃ যাদের ফেসের ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব রয়েছে তারা নারিকেল তেল ব্যবহার না করাই উত্তম। কারন নারিকেল তেল ব্যবহারে মুখমন্ডলের তৈলাক্ত ভাব আরো বৃদ্ধি করে দিতে পারে। এছাড়াও যাদের ফেইসে ব্রন রয়েছে তারা নারিকেল তেল মুখমন্ডলে ব্যবহারের ফলে ব্রন আরো বেড়ে যেতে পারে।
স্কিন বা ত্বক সংবেদনশীল হলেঃ যাদের ত্বক সংবেদনশীল বা অ্যালার্জির প্রভাব অনেক বেশী তাদের নারিকেল তেল ব্যবহার করার আগে টেস্ট করা উচিত যে নারিকেল তেলে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা। এই টেস্টের ফলে যদি দেখতে পায় তার ত্বকে লালচে ভাব বা জ্বলাপোড়া অথবা চুলকানি হচ্ছে না তাহলে সে ব্যবহার করতে পারে।
চামড়ার ভারি অনুভবঃ নারিকেল তেলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ত্বক ভারি ভারি অনুভব হতে পারে। সকল জিনিস ই সঠিক পরিমানে ব্যবহার করা উচিৎ না হলে এর বিপরীত তো হওয়াটা স্বাভাবিকই।
চুলের তেল হিসেবে ব্যবহারেঃ নারিকেল তেলে অনেক পুষ্টি উপাদান থাকায়, এটি চুলে ব্যবহারে অনেক উপকার যেমন হয়। ঠিক সেরকম অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্ষতি ও হয়। নারিকেল তেল চুলে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে চুলকে ভারি করতে তুলতে পারে এবং ধোয়ার পরে ও চুল পরিষ্কার হতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
রান্নার কাজেঃ নারিকেল তেল দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার সময় স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিবর্তে অস্বাস্থ্যকর ট্রান্সফ্যাট তৈরি হতে পারে। এছাড়াও নারিকেল তেলের স্মোক পয়েন্ট হচ্ছে ১৭৭ - ২৩২ সেন্টিগ্রেড তাই নারিকেল তেল ভাজাপোড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
সানস্ক্রিন হিসেবেঃ নারিকেল তেল সুর্যের অতি বেগুনী রশ্মির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। তবে নারিকেল তেলে এসপিএফ এর মাত্রা থাকে ৮ এর কাছাকাছি কিন্তু একটি ভালোমানের সানস্কিনের মাত্রা থাকা উচিত ৩০ এর কাছাকাছি। সুতরাং সানস্ক্রিন ক্রিমের পরিবর্তে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারবেনা।
কন্ডোমের সাথে লুব্রিকেন্ট হিসেবেঃ ল্যাটেক্স কন্ডোমের সাথে নারিকেল তেল ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ নারিকেল তেল ল্যাটেক্সকে দুর্বল করে এবং কনডম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ত্বকে নারিকেল তেল মাখার উপকারিতা
নারিকেল তেল মেয়েদের চুলে ব্যবহার করা হয় একথা সকলেই জানি, তবে এই তেল যে ত্বকে ও ব্যবহার করা হয় তা কি জানেন? আপনি হয়তো জানলে অবাক হতে পারেন যে নারিকেল তেল ত্বকের জন্য এতো উপকারি। নারিকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন এগুলো ত্বককে উজ্জ্বল এবং ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
তারুণ্যতা ধরে রাখার জন্য নারিকেল তেলের ব্যবহারের বিকল্প নেই। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, নারিকেল তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে দীর্ঘ সময় ধরে ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে এরফলে ত্বককে উজ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বয়স হলেও ত্বকে ছাপ পড়েনা। ত্বকে নারিকেল তেল মাখার উপকারিতা গুলো দেখে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ পুরুষের বা মহিলাদের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ ও মূক্তি পাওয়ার উপায়
https://realpdfbook.com/%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a5%e0%a7%87-%e0%a6%b0/
ত্বকের দাগ দূর করেঃ ত্বকে যেকোনো ধরনের যেমন ব্রনের দাগ, খাজলি পেচড়ার দাগ, পক্সের দাগ ও কাটা ছেড়ার দাগ দূর করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। নারিকেল তেলে ভিটামিন ই বিদ্যমান থাকায় ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে সক্ষম হয়। নারিকেল তেল প্রদাহ বিরোধা তাই যেকোনো কারনে যদি ত্বক ফুলে উঠে বা লালচে ভাব হয় তাহলে ও নারিকেল তেল ব্যবহারে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় নাঃ শরীরের ত্বকে বা চামড়ায় রিষ্কেলসের কারনে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে। শরীরের ত্বকে সৃষ্ট রিষ্কেলস গুলো নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে দূর করে। নারিকেল তেলে বিভিন্ন ভিটামিনের পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুনাবলী যারফলে এটি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের সকল সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ নারিকেল তেলে রয়েছে লরিক অ্যাসিড ও ক্যাপ্রিক অ্যাসিড এবং ক্যাপ্রাইলিক অ্যাসিড এগুলো বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করে মানবদেহে রোগ মুক্ত করতে সাহায্য করে থাকে।
ক্ষুধা কমিয়ে দেয়ঃ কিছু কিছু এমন সময় আসে যেসময় গুলোতে যতো কম খেয়ে পারা যায় তাতেই মঙ্গল যেমন শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমলে। নারিকেল তেল পরিমিত পরিমানে ব্যবহারে ক্ষুধা কমাতে সক্ষম। এবং দীর্ঘ সময় ধরে তৃপ্তি বজায় রাখতে পারে যার ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ কমাতে কার্যকরী।
ওজন কমানোর জন্যঃ নারিকেল তেলের মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যারা নিজেদের ওজন নিয়ে বিরক্ত তারা নারিকেল তেল দিয়ে খাবার রান্না করে গ্রহণ করলে শরীরের ওজন কমে যেতে পারে।
ডায়াবেটিকস ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ যারা ব্লাড সুগারের জন্য চিনি দুই চোখে দেখতে পারেননা, এমনকি দুধের ছানা রসালো মিষ্টি কতো দিন ধরে যে খেতে পারছেন না ডায়াবেটিকস এর জন্য তার হিসাব নেই। নারিকেল তেল রান্নায় ব্যবহারের ফলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং যদি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে তাহলে বৃদ্ধি করতে পারে।
মুখের যত্নে নারিকেল তেলঃ আপনি জানলে হয়তো অবাক হতে পারেন যে মুখের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহার হয়, হ্যা জ্বী। বিশেষজ্ঞদের মতে নারিকেল তেল দিয়ে দাত মাজলে দাত চকচকে সাদা হয় এবং মুখের মাড়ির সকল সমস্যা দূর করার জন্য নারিকেল তেল বেশ কার্যকরী।
শিয়া বাটার সাথে নারিকেল তেল ব্যবহার করার নিয়ম
আমরা এই পোস্টের মধ্যে অংশে জেনেছি যে নারিকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড এগুলো ত্বককে নমনীয় এবং আদ্র রাখতে সাহায্য করে। তেমনি শিয়া বাটায় ও রয়েছে প্রায় সেইম উপাদান তাই নারিকেল তেলের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ২ টি কে একত্রে যোগ করে ব্যবহার করলে আরো দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। ১০০ গ্রাম নারিকেল তেলের সাথে ১ চা চামুচ শিয়া বাটা মিশাতে পারেন। এই দুটিকে একত্রে মিশিয়ে হালকা গরম দিতে পারলে বেশী ভালো হয়, এবং ত্বকে সহনীয় হলে শরীরে বা মুখমন্ডলে দিতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে দ্রুত ফলাফল পাবেন।
ব্লগিং নিয়ে কিছু জানার প্রয়োজন হলে মেসেজ করুন https://facebook.com/wdridoy.4
পুরুষাঙ্গে-নারিকেল-তেল-ব্যবহারের-নিয়ম-ও-পুরুষাঙ্গে-নারিকেল-তেল-মাখার-উপকারিতা
ঘরে-বসে-নারিকেল-তেল-তৈরীর-পদ্ধতি
নারিকেল তেলের নামগুলো কি কি?
নারিকেল তেল সাধারনত মেয়েরা মাথার চুলে ব্যবহার করে তা আমরা সবাই জানি, কিন্তু এই নারিকেল তেল বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে বাজারজাত করে। প্রায় ৫০টি নারিকেল তেলের নাম জানাবো আপনাদেরকে এবং এগুলোর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে ভালো তা ও জানিয়ে দিবো ইনশআল্লাহ। দেশে অনেক ব্যাবসায়ী রয়েছে যারা নারিকেল থেকে তেল তৈরী করে, ভালো নারিকেল তেলের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো যদি আমরা কোনো নারিকেল তেলে দেখতে পাই তাহলেই একমাত্র সেটিকে ভালো বলতে পারি যাহোক এ ব্যাপারে নিচে আলোচনা করবো এখন জেনে নিন নারিকেল তেলের নামগুলো সম্পর্কে।
৫০+ নারিকেল তেলের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
১। প্যারাসুট নারিকেল তেল
২। জুই নারিকেল তেল
৩। কিউট নারিকেল তেল
৪। সেভেন ওয়েল নারিকেল তেল
৫। বেলিফুল প্যারাসুট নারিকেল তেল
৬। ভ্যাটিকা নারিকেল তেল
৭। আনন্দী নারিকেল তেল
৮। কোস্টা নারিকেল তেল
৯। মেরিকো নারিকেল তেল
১০। এভারেস্ট নারিকেল তেল
১১। কোকোপিয়া নারিকেল তেল
১২। আমূল নারিকেল তেল
১৩। ডাবল আমলা নারিকেল তেল
১৪। নিহার নারিকেল তেল
১৫। কুমেরিকা নারিকেল তেল
১৬। শ্রী নারিকেল তেল
১৭। গ্রেস নারিকেল তেল
১৮। কোকো লাইন নারিকেল তেল
১৯। হেলদি নারিকেল তেল
২০। গ্রিন ড্রপ নারিকেল তেল
২১। আরোগ্যা নারিকেল তেল
২২। কোকোলোকো নারিকেল তেল
২৩। ডিউ নারিকেল তেল
২৪। নেচার নারিকেল তেল
২৫। ওরিজিন নারিকেল তেল
২৬। পিওর ড্রপ নারিকেল তেল
২৭। ট্রপিকান্না নারিকেল তেল
২৮। সনালী নারিকেল তেল
২৯। ভারত নারিকেল তেল
৩০। ভিভা নারিকেল তেল
৩১। আয়ুশ নারিকেল তেল
৩২। ওয়েলকেয়ার নারিকেল তেল
৩৩। পিওর অ্যান্ড বেসিক নারিকেল তেল
৩৪। ফ্রেশ কোকো নারিকেল তেল
৩৫। হ্যাপি হার্ব নারিকেল তেল
৩৬। পিওর ফার্ম নারিকেল তেল
৩৭। গার্ডেন ফ্রেশ নারিকেল তেল
৩৮। আয়ুর্বেদ নারিকেল তেল
৩৯। এভারপিওর নারিকেল তেল
৪০। সিলভার নারিকেল তেল
৪১। কোপরা নারিকেল তেল
৪২। ডাবর ভার্জিন কোকোনাট অয়েল
৪৩। হিমালয়া নারিকেল তেল
৪৪। প্রাণ নারিকেল তেল
৪৫। গো নারিকেল তেল
৪৬। কোকোনারা নারিকেল তেল
৪৭। টপ কেয়ার নারিকেল তেল
ভালো নারিকেল তেলের নাম / সেরা নারকেল তেলের নামগুলো
বাজারে যে সকল নারিকেল তেল রয়েছে এর মধ্যে সেরা ৮ টি তেল টেস্ট করে জানতে পেরেছি সবচেয়ে ভালো নারিকেল তেল হলোঃ প্যারাসুট এবং জুই। তুলনা নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে এই টেস্টের ভিডিওটি রয়েছে, আপনরা চাইলে দেখতে পারেন। একটি ভালো নারিকেল তেলের বৈশিষ্ট্যে হলো ফ্রিজে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিলে সেটি এই সময়ের মধ্যে জমে যাবে, আর যদি না জমে তাহলে বুঝতে হবে যে এই নারিকেল তেলটির ভিতরে বিভিন্ন ক্যামিকেল রয়েছে যার কারনে এর গুনগত মান ঠিক নেই৷ যে তেলে ক্যামিকেল নেই এসকল তেল মাথার চুলে, পুরুষাঙ্গে বা শরীরের ত্বকে ব্যাবহারের ফলে উপকারিতা রয়েছে।
ভালো নারিকেল তেলের নামগুলো
১। প্যারাসুট নারিকেল তেল
২। জুই নারিকেল তেল
৩। কিউট নারিকেল তেল
উপরে যে ৩ টি নারিকেল তেলের নাম বলা হয়েছে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা হলো ১ নম্বরের টা এবং ২য় টি ও ভালো তবে কিউট নারিকেল তেলটির ভিতরে কিছু উপদান মিশ্রিত রয়েছে যেগুলো ত্বকের জন্য ১০০% ভালো নয়, তবে কেউ যদি চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন। আমার দেখা প্রায় ৫০ টি নারিকেল তেলের মধ্যে এই তিনটিই সেরা। এবং পুরুষাঙ্গে ব্যবহারের জন্যে প্যারাসুট বা জুই নারিকেল তেল ব্যবহারের / মাখার ফলে সবচেয়ে বেশী উপকারিতা পাবেন।
অর্গানিক নারিকেল তেল কোথায় পাওয়া যায়
অর্গানিক নারিকেল তেল অনলাইন জনপ্রিয় প্লাটফর্ম দারাজ (Daraz), ইভেলি (Evaly), আজকের ডিল (Ajkerdeal), এবং চাল ডাল (Chaldal) এগুলোতে পেতে পারেন। তবে ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই কাস্টমার রিভিউ দেখে কিনবেন। এছাড়াও আরো কিছু অনলাইন শপিং মার্কেট রয়েছে Shwapno, Unimart, Meena Bazar এগুলোতে ও অর্গানিক নারিকেল তেল পেতে পারেন। অফলাইনে বড় মুদি দোকানে ও অর্গানিক নারিকেল তেল পেতে পারেন। অনলাইনে এই তেল অর্ডার করার সময়ে অবশ্যই কাস্টমার পজিটিভ রিভিউ দেখে ক্রয় করবেন, আর ক্যাশঅন ডেলিভারিতে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
😉😉😉
Comments
Post a Comment